শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
Online Edition

পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা আদালতে স্বামীর দায় স্বীকার

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর হাতিরপুল এলাকায় সাজেদা আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ফেরদৌস মিয়াকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে এ হত্যাকা- ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন ফেরদৌস। 

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান,  রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুতের গলির বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করে তার স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সিআইডি ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে সাজেদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। 

কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান ফেরদৌস পেশায় রিকশা চালক। তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবলে। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। তাদের বয়স ৯ ও ৭ বছর। তিনি বলেন, স্ত্রীকে খুনের পর ঘরের ভেতরেই বসে ছিলেন ফেরদৌস, সেখান থেকেই তাকে আটক করা হয়। 

পুলিশ জানায়, পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী সাজেদা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেরদৌস। তিনি আদালতে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। আদালতের কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, দুই তিন বছর আগে ফেরদৌস ও সাজেদা হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসেন। কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় দুই সন্তানকে নিয়ে একটি টিনসেড বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা। ফেরদৌস মাদকাসক্ত। তিনি রিকশাচাতেন এবং সাজেদা বাসা বাড়িতে কাজ করতেন। 

সাজেদা যে বাসায় থাকতেন তার থেকে কিছু দূরের বাসিন্দা জনৈক রাসেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করার ফাঁকে সাজেদা রাসেলকে নিয়ে গভীর রাত অবধি বাইরে থাকতেন। দুই শিশুসন্তান বাসায় থাকলেও তাদের ঠিকমত আদর-যতœ কিংবা পরিচর্যা করতেন না। এ অবস্থা দেখে প্রায়ই সাজেদা ও ফেরদৌসের ঝগড়া-বিবাদ হত। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বেশ কয়েকবার শালিসও হয়।  

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ